আজ ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চন্দনাইশে ভাগনিকে হত্যার পর খালা-খালুকে জবাই


চাটগাঁর সংবাদ ডেস্ক: চন্দনাইশে ভাগনিকে হত্যার পর খালা-খালুকে জবাই করে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে নাজিম উদ্দীন (২৮) নামে এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে চন্দনাইশ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। আহত ২ জনকে (খালা-খালুকে) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়ভাবে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার নানার বাড়িতে আসে কলেজ শিক্ষার্থী আরজু আকতার (২০)। ওইদিন সাতকানিয়ার খাগরিয়া এলাকার নাজিমও খালার বাড়িতে বেড়াতে আসলে আরজুকে দেখে।

আরজু নানার বাড়িতে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার গভীর রাতে নাজিম তার খালার বাড়িতে আসে। রাত ২টার দিকে আরজু বাথরুমে গেলে সুযোগ বুঝে নাজিমও বাথরুমে ডুকে প্রথমে ভাগনিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আরজুর মুখের ভিতর কাপড় ডুকিয়ে ওড়না দিয়ে পেছিয়ে তাকে হত্যা করে বলে পরিবার ও স্থানীয়দের ধারণা।

মেয়ের চিৎকার শুনে মেয়ের আরজুর নানা-নানির ঘুম ভেঙে গেলে বিষয়টি জানাজানি হলে নাজিম তাদেরকে জবাই করে হত্যা করার চেষ্টা করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে নাজিম পালিয়ে যায়।

এসময় স্থানীয়রা রক্তান্ত অবস্থায় আবদুল হাকিম (৭৫) ও ফরিদা বেগম (৬০)কে উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

ফরিদা বেগমের অবস্থা আংকাজনক বলে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আরজুর লাশ উদ্ধার করে চন্দনাইশ পুলিশ নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

চন্দনাইশ থানার ডিউটি অফিসার এসআই আমিনুল্লাহ জানান, মেয়ে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এরপর নাজিমও বেড়াতে আসে সেখানে। মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠলে সুযোগ বুঝে নাজিম ভাগনি আরজুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে আরজুকে হত্যা করে। নানি দেখে ফেলায় নানা এবং নানি দুজনকেই কুপিয়ে জবাই করার চেষ্টা করে।

তারা দুজন এখন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। লাশের সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরীর ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর